মোঃলোকমান রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াত সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এমএ মতিন প্যাদার বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত ব্রিজ । এ ব্রিজ দিয়েই চরমোন্তাজ ইউনিয়নের পানপট্টির ঘোজা, মাজের চরের মানুষ , যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের প্যাদা বাড়ির সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষকে।
ব্রিজটির মাঝে স্লাব ভেঙে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। প্রতিদিন এ সড়ক ও ব্রিজটি দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের চলাচলের একমাত্র যানবাহন হলো মোটরসাইকেল সেই মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারে না এই ব্রিজ দিয়ে এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেও সেতুটির মেরামতের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। চরমোন্তাজ সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান শরীফ বলেন, ব্রিজের এ অবস্থা হঠাৎ করে হয়নি। প্রায় ১১ থেকে ১২ বছর আগে ব্রিজটির মাঝখানে পিলার লবণাক্ত পানির কারণে ভেঙ্গে যায় । তারপর থেকে শুরু হয় ব্রিজের নষ্ট হওয়ার কারণ।
মোটরসাইকেল চালক মোঃ বাদশা , ব্যাবসায়ী র বাহাদুর প্যাদা, মাদ্রাসার ছাত্র সোহাগ জানান, ব্রিজটি প্রায় ১১/১২ বছর ধরে মাঝখানে ভেঙে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। এখানে প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত এর সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
চরমোন্তাজ সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোখলেসুর রহমান ও মোঃ শাহ আলম মাস্টার জানান, ব্রিজটি প্রায় ১১/১২ বছর ধরে এমন অবস্থা। তবে বছর আটেক আগে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য ড্রাইভাররা নিজেদের অর্থায়নে কাঠ দিয়ে মেরামত করা হলেও তা বেশিদিন টেকেনি।
এ ব্যাপারে দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ কে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু মিয়া বলেন, ব্রিজটি আমার ইউনিয়নের চরমোন্তাজ এর প্রাণকেন্দ্র স্লুইজ বাজার ও চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদে আসা যাওয়ার পানপট্টির ঘোজা ও মাঝের চরের মানুষের একমাত্র রাস্তা এটা ছাড়া বিকল্প কোন জায়গা নাই।
ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ বাধ্য হয়ে চলাচল করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পটুয়াখালী ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব অধ্যক্ষ মহিবুবর রহমান (মহিব) এমপি মহোদয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন যাতে এই ব্রিজ টা দ্রুত হয়।এই বিষয়ে দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ কে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ জহির উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, জনগণের দুর্ভোগ যেখানে সেখানে জনপ্রতিনিধির সব সময় থাকা উচিত এই রকমের একটা ব্রিজ যেখান দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী এবং এলাকার মানুষজন চরমোন্তাজ বাজারে তাদের পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া করে এরকম একটা জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা আমি কোনক্রমেই মেনে নিতে পারছিনা।
তিনি বলে এবিষয়ে আমাকে আগে কেহ বলে নাই। এই প্রথম শুনলাম।
এই ব্রিজ টি যাতে দ্রুত হয়ে যায় সেজন্য আমাদের এলজিইডির ব্রিজ এবং আয়রন ব্রিজ এর প্রকল্প পরিচালক আছেন এবং আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয় আছেন তাদের সাথে আমি কথা বলে যতদ্রুত করে দেয়া যায় আমি সেই জন্য চেষ্টা করব আশা করি অতি শীঘ্রই জনগণ এই ফল পাবে।
তিনি আরো বলেন পটুয়াখালী ৪ আসনের মননীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব এমপি মহোদয় এর নির্দেশনা নিয়ে আমি ঈদের পরে এই দক্ষিণ বাংলার আয়রন ব্রিজ এর পিডি আসবে পরিদর্শনে আমি তাকে নিয়ে ওই জায়গায় যাব।