নিজস্ব প্রতিবেদক
এক নজরে হলিক্রস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ভারত ভাগের পর ঢাকার আর্চবিশপ লরেন্স গ্রেইনার, সিএসসি পূর্ব পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা বিস্তারে পবিত্র ক্রুশ সংঘের (হলি ক্রস) সিস্টারদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানালেন পূর্ব পাকিস্তানে মেয়েদের জন্য একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৯৫০ সাল, ১ নভেম্বর পাঁচ জন ছাত্রী নিয়ে হলি ক্রস কলেজের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। সিস্টার আগস্টিন মারী ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে সিস্টার যোসেফ মেরী, সিএসসি কলেজের দ্বিতীয় অধ্যক্ষারূপে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিসেস গার্টি আব্বাস অধ্যক্ষা ছিলেন। ১৯৭২-২০১০ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত এই সুদীর্ঘকাল সিস্টার মেরিয়ান টিরিজা অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এই অর্ন্তবর্তীকালীন বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিস্টার যোয়্যান, সিএসসি, সিস্টার রোজ বার্ণার্ড, সিএসসি, এবং সিস্টার যোসেফ মেরী, সিএসসি।বর্তমানে জুলাই ০১,২০১০ সাল থেকে অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন সিস্টার শিখা গমেজ, সিএসসি।
১৯৭৫ সালে কলেজের রজত জয়ন্তী এবং ২০০০ সালের কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয়। বর্তমানে ৪৫ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক এখানে শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। একাদশ, দ্বাদশ ও পরীক্ষার্থী মিলিয়ে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২৫০০।
১৯৬০ সালে অ্যালামনায়েক এসোসিয়েশন আরম্ভ হয়।
কলেজ শুরুর পর্যায়ে শুধু মানবিক বিভাগ ছিল। ১৯৬২ সালে ঢাকা বোর্ডের অনুমোদনে এখানে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয় এবং ২০০৫ সালে কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ খোলা হয়। ১৯৫৪ সালে কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.এ ক্লাস ছিল। ১৯৭০ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৫২ সাল থেকে কলেজ সংলগ্ন ছাত্রীহোস্টেল ছিল। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কলেজে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হত। ১৯৭২ সাল থেকে সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী তা বাংলা মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়। ২০০৮ সালে কলেজের নবনির্মিত ভবন, অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হয়।