মোহাম্মদ রাসেল কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: দীর্ঘ সতের মাস পর কক্সবাজার সদরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় মেডিপ্লাস পেস্ট কোম্পানীতে কর্মরত আনোয়ার হোছাইন (৩৫)কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা মামলার মূল আসামী সুজন মল্লিক (২৩)কে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ি।
আটক সুজন মল্লিক (২৩) শহরের ৬নং ওয়ার্ডের মল্লিকপাড়ার বিনতের ঘোনা এলাকার স্বপন মল্লিকের ছেলে।
২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় বিজিবি ক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম আনােয়ার হােছাইন (৩৬)কে গত ২২ নভেম্বর’২০ ইং চাকুরীর কাজে টেকনাফ যায়। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক সংলগ্ন বিএডিসি অফিসের দ্বিতীয় গেইটের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছলে তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এ অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৮ টায় কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘােষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম আনোয়ারের ছোট ভাই আতোয়ার হোসাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং-৬৩। ওই মামলায় কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো.আনোয়ার হোসেনকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্বভার প্রদান করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো.আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে মামলার ঘটনাস্থলসহ আশেপাশের লোকজনের তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তি সহায়তায় উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদেরকে সনাক্ত করেন। মামলার ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের কে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এই মামলাটি একটি ক্লুলেস মামলা এবং মামলার এজাহারনামীয় আসামী অজ্ঞাতনামা। আসামী সুজন মল্লিক (২৩)কে ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টায় বিজিবি ক্যাম্প এলাকা হতে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে এবং অপর আসামীর নাম সহ বিস্তারিত তথ্য দেন। তাকে ২২ মার্চ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে ও অপর আসামীর নাম প্রকাশ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সে ও অপর আসামি দুজনে গাঁজা (মাদক) সেবন করার পর তারা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে এবং সেই উদ্দেশ্যে বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিএডিসি অফিসের সামনের ফাঁকা রাস্তার দিকে কোমরে ২টি ধারালো ছোরা দ্বারা ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় এবং মোবাইল ও মানি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সে বাঁধা দেয়। এতে আসামি সুজন মল্লিক ও অপর আসামি ভিকটিমের শরীরে ছুরিকাঘাত করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।