কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার রামু উপজেলার রশিদ নগর এলাকায় পর্যটন খ্যাতের সম্ভাবনাময় একটি নামে তৈরী হয়েছে স্বপ্নতরী জাহাজ ও শিশুপার্ক । এটি উপজেলা প্রশাসন রামু কতৃক নির্মিত ও বাস্তবায়িত হয়েছে।
পার্কটি কক্সবাজার টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে রামু রশিদ নগর গুচ্ছগ্রাম সড়কের ডান পাশে অবস্হিত। এই স্বপ্নতরী জাহাজ ও শিশুপার্কটি যুগ করেছে রামুর পর্যটন খ্যাতে জানিয়েছেন অনেক পর্যটকরা। লক্ষ্য করা যায় প্রতিদিন হরেকরকম নানা মানুষের ভীড়।
সবুজে ঘেরা পাহাড় নিয়ে এই স্বপ্নতরী জাহাজ ও শিশুপার্কটি নজর কাড়ে ভ্রমন পিপাসুদের।
স্বপ্নতরীর চারপাশে জুড়ে রয়েছে সবুজের হাতছানি। স্বপ্নতরী পাহাড়ের পাদদেশে ভাসছে যেন সাগরের এক বিশাল জাহাজ। কক্সবাজার শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে রামু রশিদ নগর কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে একটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্হিত এ পার্কটি। সরকারী খাসজমির পাহাড়টি সম্পুর্ন অক্ষত রেখেই প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুটের তৈরী এই জাহাজটি।
জাহাজের নির্মান কাজের সংশ্লিষ্ট মিস্ত্রিরা জানান, সাগরের ভাসমান একটি জাহাজে যা থাকে তার সবই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। যেমন জাহাজে নোঙর থাকবে।ওপরে থাকবে চিমনি। সেই চিমনি থেকে যথারিতি ধোঁয়াও বের হবে। বাস্তবে জাহাজের রেস্টুরেন্টের চুলার ধোঁয়া চিমনি থেকে নির্গতের ব্যাবস্হা করা হবে। জাহাজে স্টিয়ারিং,লাইটিং, বয়া, শিকলসহ বিপদের সময় ব্যাবহারের ডিঙি নৌকা ও ৭৫ ফুট লম্বা মাস্তুলও থাকবে বলেও জানিয়েছেন মিস্ত্রিরা।
মহাসড়কের পাশে পর্যটন কেন্দ্রটি স্হাপনের উদ্যোক্তা রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও প্রণয় চাকমা জানান, বেশ কয়েকমাস আগে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়েছিল স্হানীয়রা। আশপাশের গাছগাছালী ও ইতিমধ্যে প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে।
তিনি একবার অভিযানে গেলে পাহাড়টির রক্ষার কথা ভাবতে পার্ক করার স্বপ্ন দেখেন, তিনি জানান, রম্যভুমি নামে রামুতে বুদ্ধমন্দির ছাড়া তেমন দর্শনীয় স্হান নেই, স্বপ্নতরী জাহাজ ও শিশুপার্কটি পুরোপুরি রুপ পেলে মহাসড়কের পাশে আরও একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র যোগ হবে। পার্কটিতে বৈদ্যতিক কেবল কার স্হাপনেরও সুযোগ সুবিধা রয়েছে ।