মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারে দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্হানীয়রা। ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে দখল করে নির্মান কাজ পরিচালনা, হুমকি ও মাটি ভরাট করে লবন চাষের জমি নষ্ট করার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন আদালতে জমির মালিকরা। আদালত জমির মালিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন । সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইউ এস- ডিকে গ্রিন এনার্জি ( বিডি) নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছিল । পরে জমির মালিকরা বাঁধা দেওয়াতে বেসরকারি কোম্পানির লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে যায়।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বায়ু শক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার । এর অংশ হিসাবে দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে ককসবাজারে । কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে প্রায় ৯০০শত কোটি টাকার ব্যায়ে ৫ একর মালিকানাধীন জমির উপর নির্মিত হচ্ছে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র।
আরফাতুল ইসলাম নামে এক জমির মালিক বলেন তাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে কোন ধরনের স্হাপনা না করতে কক্সবাজার জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত গত ৩ জানুয়ারী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। এরপর ও তারা মালিকানাধীন জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করায় একটি টারবাইনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।নির্মাণকারী কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, জমির মালিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে শুনেছেন। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোন কপি তারা হাতে পাননি ।
মালিকানাধীন জমি নিয়ে জটিলতার বিষয়টি উক্ত বেসরকারি কোম্পানির উপদেষ্টা দেখছেন বলে জানিয়েছেন তিনি । কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ( পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি বলেন, তাঁরা শুধু কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন । জমি নিয়ে জটিলতার বিষয় নিয়ে কোম্পানির লোকজনই ভাল বলতে পারবে।
জানা গেছে , চীনা প্রতিষ্ঠান এসপিআইসি উইলিং পাওয়ার কর্পোরেশনের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইউএস- ডিকে গ্রিন এনার্জি ( বিডি) । এ প্রকল্পের আওতায় খুরুশকুল, পিএমখালী ও চৌপলদন্ডি ইউনিয়নে মোট ২২ টি উইন্ড টারবাইন ১১০ টি উচু টাওয়ারের ওপর স্হাপন করা হচ্ছে। এর পাখাগুলো বাতাসের শক্তিতে ঘুরে বায়ুশক্তিকে বিদ্যুতে পরিণত করবে ।
বাতাসের বিপরীতে এগুলো অনেকটা বিমানের ডানার মত কাজ করে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার এস আই সুরেজ বড়ুয়া বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ জমিতে বিশৃঙ্খলা রোধে তারা কাজ করছেন।