কমে গেছে খেজুর গাছ, শীত এলে নেই রস নিয়ে ব্যস্ততা

1700479196281

ফেনীর  দাগনভূঞাতে  বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। সেই কারণে শীতে আর মেলে না খেজুর রস। কয়েক বছর আগেও শীতের সকালে রসের হাঁড়ি নিয়ে গাছিরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। আজ আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও এক হাড়ি রস মেলে না। বিকেলে চোখে পড়ে না খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য। এক সময় এ অঞ্চলে ইটভাটায় পোড়ানো হতো খেজুর গাছ। এর ফলে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা শুধুই কমেছে, নতুন করে খেজুর গাছের চারা রোপনে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। এর ফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। আর রস সংগ্রহ করা গাছিরাও পরিবর্তন করেছে তাদের পেশা।

কয়েক বছর আগেও দাগনভূঞা  উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিকেল হলে দেখা যেতো খেজুর গাছে হাড়ি পাতার দৃশ্য। সকাল হলে এলাকার প্রতিটি গ্রামে, মহল্লায় গাছিদের দেখা যেত খেজুর গাছ থেকে রস ভর্তি হাড়ি নামাতে। শীতের সকালে গাছিরা খেজুর রসের হাড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করত খেজুরের রস।

আগে শীতের সকালে রোদে বসে খেজুরের রস ও মুড়ি খাওয়া ছিল গ্রামের একটি রেওয়াজ ও ঐতিহ্য। কৃষকেরা ঘুম থেকে ওঠে খেজুরের রসের সাথে মুড়ি দিয়ে খেয়ে মাঠে যেত। এখন খেঁজুর রসের স্বাদ সবার ভাগ্যে জোটে না। গাছিরা তাদের শীতকালের এই পেশা ছেড়ে নেমে গেছে অন্য কাজে। বর্তমান কয়েক গ্রাম ঘুরেও একজন গাছি পাওয়া যায় না।

উপজেলার মাতুভূঞা  ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের মো. গফফার বলেন, আগের মত এলাকায় খেজুর গাছ নেই। আর খেজুর গাছ কেটে এখন পেট চলে না। বয়স হয়েছে, তাই ওই পেশা ছেড়ে দিয়েছি। একই ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মো. সাহিদ বলেন, গাছ কাটার পেশায় থেকে সংসার চলে না। তাই গাছ কাটার পেশা ছেড়ে দিয়েছি।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নাজমুল হক বলেন, আগে শীতের সকালে প্রায়শই খেজুর রস কিনতাম। তা দিয়ে পিঠা তৈরি করতো আমার স্ত্রী। এখন অনেক খুঁজেও রস সংগ্রহ করতে পারি না।

দেওয়ান মোঃ ইকবাল,দাগনভূঞা, ফেনী


কমেন্ট As:

কমেন্ট (0)