গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় মৌর্য শাসন আমলে মহামতি সম্রাট
অশোক নির্মিত স্তম্ভ রয়েছে।কালের বিবর্তনের সাথে সাথে হারোতে
বসেছে এর সঠিক ইতিহাস।
মৌর্য শাসন আমলে মহামতি সম্রাট অশোক ৮৪ হাজার স্তম্ভ তৈরিকরে।অশংখ্য
স্তম্ভর মধ্যে একটি এটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর প‚র্বে তৈরি মৌর্য আমলের
সূচনা স্তম্ভ।ইতিহাসে আরো জানা য়ায যে গৌতম বুদ্ধ যেসব স্থানে
অবস্থান করতেন ঠিক সেই স্থানে সম্রাট অশোক এই রকম স্তম্ভ স্থাপন
করতেন।কিন্ত বর্তমানে স্থানীয় সোনাতন ধর্মীয়দের মাঝে এটা সিদ্ধমাদব
মন্দির নামে পরিচিত।
সরজমিনে গিয়ে , উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের স্বাকাশ্বর বাজারের পেছনে
তুরাগ নদীর পশ্চিম পারে তালাবদ্ধ একটি ছোট ঘরের ভিতরে এর অবস্থানে। স্তম্ভটি
দেখতে কালো রঙের পাথর, লম্বায় আনুমানিক প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ফুট
হবে। পেছন দিকে একটু হেলানো, সিমেন্টের ফ্লোর এর মাঝে
আটকানো।অশোক স্তম্ভ চারটি সিংহের মুখযুক্ত একটি একক ম‚র্তি। এই
সিংহ চারটির পশ্চাৎ অংশ যুক্ত থাকে এবং মুখগুলো চারটি দিকে নির্দেশ করে।
এর ফলে যে কোন দিক থেকে তিনটি সিংহের মুখ একবারে দেখা যায়। এই
চারটি সংযুক্ত সিংহম‚র্তি একটি একটি উল্টানো পদ্মফুলের উপরে বেদীটি
স্থাপন করা থাকে। এছাড়া পদ্মফুলের ওপর দেখতে চতুর্ভুজাকৃতি ও
কারুকার্য্যবিহীন ।আরো কিছু স্তম্ভকে অশোক স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করা
হয় সেগুলোর মধ্যে বুদ্ধম‚র্তি অংকন করা থাকে।
বর্তমানে স্তম্ভটি দেখাশোনা করেন স্থানীয় বিশু নাথা তিনি জানান যে, এটা
কে বা কারা স্থাপন করেছে তা আমরা বলতে পাড়িনা তবে আমরা ছোটে বেলা
থেকে এটা দেখে আসছি।প‚বে আমার বাাবা এটা দেখাশোন করতো।
বর্তমানে আমি ছোটখাটো ব্যাবসা করি পাশপাশি এটা দেখাশোন
করছি।এই স্তম্ভের নামে দুই ডিসিমল জমি রয়েছে।এই স্তম্ভটি চুরি করার
জন্য কয়েকজন লোক স্তম্ভের চারোপাশে গর্ত করে ছিল কিন্তু নিতে পারেনি। ওই
লোকটি জ্বর হয়ে মারা গেছে।এমনিতেও আমরা এই স্থানটিকে পবিত্র মনে করি
।চুরিকরতে আসা লোকটি মৃত্যুতে জনসাধারনের কাছে অনেক পবিত্র স্থান
ভাবতে শুরু করে ।এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার ,আসেপাশের
ও দ‚র দুরান্ত থেকে দর্শনাথী আসেন। আগত দর্শনার্থীরা অনেকে দেখতে আসে
আবার অনেকে তাদের মনকামনা প‚রনের জন্য মানত করে থাকে। এখানে অনেকের মনকামনা পূর্ন ও হয়েছে । তারাই আবার পরবর্তীতে দেখতে ও প্রনামি দিতে
আসে ।
বিশু নাথা আরো বলেন সরকার এর পৃষ্ঠপষোকতা ও দেখবাল করলে দর্শনাথীর পরিমান আরো বারবে এবং পরবর্তি প্রজম্ন সঠিক ইতি হাস জানতে ও শিখতে পারবে।
এলাকাবাসি অনেকের মনে অনেক ধরনের কুসংস্কার রয়েছে।কিন্তু সকলের
কুসংস্কারকে ছাপিয়ে এটা একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস বহন করে তাতে
কোন সন্দেহ নেই।