গজারিয়া প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইমন আহম্মেদ (২৮) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে এ নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত ইমন আহম্মেদ উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের আলাউদ্দিন আলোর ছেলে।
এ ঘটনায় চারজন কে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য নিহত ইমন আহম্মেদের বাবা, মা, ভাই ও তার স্ত্রী কে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে খবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ইমন আহম্মেদ। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে গলায় ফাঁশ দেয়া অবস্থায় ইমন আহম্মেদ এর ঝুলন্ত লাশ দরজার ছিদ্র দিয়ে দেখতে পায় তার সৎ মা শেফালী বেগম। পরে শেফালী বেগম ছেলের লাশ দেখে চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশে ঘটনার স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ইমন আহম্মেদের বড়ভাই জুম্মন জানান, ইমন আমার বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করতো। বেশ কয়েক দিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে ইমন ও তার স্ত্রী বর্ষার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী বর্ষা স্বামী কে বাড়িতে রেখে পাশ্ববর্তী সোনারগাঁও থানাধীন তার পৃত্রালয়ে চলে যায়। স্ত্রী যাওয়ার পাঁচদিন পরে খাটের ওপর শেলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওরনা প্যাঁচানো অবস্থায় ইমনের লাশ দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, আমার ভাই ইমন ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার এই মৃত্যু আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
ইমনের স্ত্রী বর্ষা বেগম জানান,গতকাল সোমবার রাত ৯ টায় আমার স্বামীর সাথে শেষ ভিডিও কলে কথা হয়। তখন সে হাসি খুশি ছিল আমাকে বলল তোমাকে ছাড়া আমার আর ভাল লাগে না তুমি চলে আসো। আজ সকালে তার মৃত্যুর
খবর শোনে স্বামীর বাড়িতে আসি। স্বামী ইমনের ঝুলন্ত অবস্থা লাশ দেখে আত্মহত্যা অবশ্যষ মনে হচ্ছে।
এদিকে লাশ উদ্ধার করার সময় নিহতের খাটের সাথে পা লেগে ছিল এই নিয়েই স্থানীয়দের মনে কৌতুহল সৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।