আশরাফুল আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ ট্রাফিক আইনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত এবং আইনের প্রয়োগের পূর্বে সচেতনতার প্রতিগুরুত্ব আরোক করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে বাস টার্মিনাল, কলেজ,বিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সচেতনতামূলক কর্মসুছি বাস্তবায়ন করছেন।
২৯ জুন (বুধবার) জেলা পুলিশের উদ্যোগে এসকেএস কলেজ রোড উত্তর হরিণ সিংহায় এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের অর্থ পরিচালক খোকন কুমার কুন্ডু, গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) নুর আলম সিদ্দিক, ট্রাফিক অফিসার হেলাল উদ্দিন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঋতৃ মনি, নাইম হাসান। সভাপতিত্ব করেন এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন- তোমাদেরকে অবশ্যই নিদ্দিষ্ট অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে হবে। এটা আমাদের সকলের প্রত্যাশা। অযথা সময় নস্ট না করে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের উপর সময় নষ্ট না করে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিদ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব।
তিনি আরো বলেন- একটি সড়ক দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। অনাকাঙিক্ষত সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিজেকে সচেতন
থাকতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে সকলকে হেলমেট পরিধান করতে হবে। চালক ও পথচারীদের অসচেতনভাবে চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। একটি দুর্ঘটনার কারণে পরিবার তার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিতে সারা জীবনের জন্য হারাতে হয়। সড়ক দূর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড় বা স্থানগুলিতে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। সেই সাথে রাস্তা চলাচলের সময় ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন-এসকেএস স্কুল এন্ড কলেজের উপাধাক্ষ্য ড. অনামিকা সাহা, এসকেএস ফাউন্ডেশন সোস্যাল ইন্টারপ্রাইজিং-সমন্বয়কারী আবু সাঈদ সুমন, এসকেএস ফাউন্ডেশন পাবলিক রিলেশন-সমন্বয়কারী আশরাফুল আলম, রেইনবো পেইন্টস এর গাইবান্ধা জোনাল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। কর্মসূচি শেষে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের জন্য দুটি জেব্রা ক্রসিং চিহ্নিত করা হয়।