আব্দুল সাত্তার টিটু
গত ১৫ নভেম্বর বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় ৫ বছরের আলিনা ইসলাম আয়াতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘাতক আবির আলী (১৯)। পরে শিশুর নিথর দেহটিকে ৬ টুকরো করে ফেলে দেয়া হয় নদীতে৷
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নগরের আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে একটি নালায় স্লুইচগেটের কাছে নিহতের খন্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর আগে ৩০শে নভেম্বর আয়াতের বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ উদ্ধার করেছিল সংস্থাটি।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো সূত্রে জানা যায়, ঘাতক আবির আলী ইতিপূর্বে শিশু আয়াতের দাদা’র বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিল৷ একটি পোষাক কারখানায় কাজ করা আবির গত ১৫ নভেম্বর আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে উঠে৷ সে সময় আবির শ্বাসরোধ করে আয়াতকে হত্যা করে৷ এরপর শিশুটির নিথর দেহ ঘাতক আবির তার বাসায় নিয়ে গিয়ে ৬ টুকরো করে দুটি ব্যাগে ভরে রাখে৷ পরদিন ১৬ নভেম্বর সেই দেহের টুকরো গুলো বেড়িবাধ সংলগ্ন নদিতে ফেলে দেয়৷ ওই দিন আবীরকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি এবং আয়াতের জুতা উদ্ধার করেন। পরে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ইতোমধ্যে আসামি আবিরের মা বাবা ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।