চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আজ ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজননক্ষেত্রসহ সবধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সকল বিভাগের সাথে সমন্বয়পূর্বক নিয়মিতভাবে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে। এই আইনের ধারা ০৫ অনুসারে সর্বনিম্ন দন্ড ন্যূনতম এক বছর কারাদণ্ড। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় একটি মা ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ১.৫ লক্ষ থেকে ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, যদি একটি মাছও না ধরতে দেয়া হয়, তাহলে প্রতিটি ইলিশ মাছ থেকে ২৩ লক্ষ পর্যন্ত নতুন ইলিশ মাছ পাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে এর সুফল ভোগ করবেন আমাদের দেশ ও দেশের জনগণ। এই অভিযানের সফলতা আমাদের দেশের মৎস্য উৎপাদন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অত্যন্ত কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে সচেতন হই এবং ইলিশ মাছ রক্ষায় যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখি।মাদারীপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য সরকার নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছে। অবরোধকালীণ সময়ে জেলেদের বিভিন্ন ভাবে প্রনোদণা দিচ্ছে সরকার। মৎস্য সংরক্ষন আইন বাস্তবায়ন করার লক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।তাহলে সমুদ্রে অনেক ইলিশের উৎপাদন বাড়বে এবং বড় সাইজের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়বে। এসময় তিনি আরও জানান, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকার প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসময় তিনি জেলেদের সরকারী আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান।