দেয়াল নির্মাণ করে দখলের পায়তারা
- By --
- Tuesday, 21 Nov, 2023

চট্টগ্রামের সীতাকু- থানা এলাকার বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের ৫ নং ব্রীজ সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, তফশীলিভোক্ত সম্পত্তির প্রকৃত মালিক চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার লতিফপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আবু তাহেরের ছেলে সৈয়দ আব্দুল মালেক। গত ২০০৫ সালের ১২ ই মার্চ ১০৩৪ নং আমোক্তারন- ামা দলিল মূলে মালিক সৈয়দ আব্দুল মালেক বলেন, নিজের অর্থায়নে কাঁচা ও সেমিপাকা ঘর, গরুর খামার, শ্রমিক কর্মচারী ভাড়া ঘর ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাসের ব্যবস্থা করিয়াছি ।
তফশীলিভোক্ত সম্পত্তি আমার সিএস মূলে মালিকানাধীন আর এস বলে মালিকানা জমি হয়, বকেয়া খাজনার দায়ে উক্ত জমি নিলামে পরিণত হয়। নিলাম খরিদ বলে ১৯৫৭ থেকে ৫৮ সালে ১৭৭ নং মামলার বন্দোবস্তি মূলে মালিক হইয়া আর এস খতিয়ান সৃজিত হয়, জ্যোত খতিয়ান নং-২৪, আরএস খতিয়ান নং ১০৬, আর এস দাগ নং ৩০৯ অনুযায়ী বিএস দাগ নং- ৩৬১ কিন্তু বিএস খতিয়ান ভুলবশত ১ নং খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা হয়। তাহার ভুল সংশোধনের জন্য চট্টগ্রাম ১ নং জজ আদালতে মামলা করি। যাহার মামলা নং ৬৬/২০০৫ইং। বিজ্ঞ আদালত গত ২২/০৪/২০১৪ ও ৩০/০৪/২০১৪ দু-তরফা রায় প্রদান করেন। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ জিপি আপিল করেন। যাহার মামলা নং-১১৫/২০১৪, ১১৭/১৪৩ ১২১/১৪। উক্ত মামলা গুলো প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গত ২০১৭ সালের ৩০ শে নভেম্বর পূর্বের রায় বহাল রেখে ডিগ্রী প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভিডিও জেলা জিপি বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন মামলা নং-১৪৬৪/২০১৮ দায়ের করেন। যা বর্তমানে হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। তফশীলিভোক্ত জায়গার বৈধ মালিক সৈয়দ আব্দুল মালেক আরো বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সীতাকু- উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী ভূমি কমিশনারের নাম ভাঙ্গিয়ে সীতাকুন্ড উপজেলার ছিন্নমূল এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু গাজী সাদেক, গফুর মেম্বারসহ এলাকার প্রভাবশালী মহলের সমন্বয়ে গত ১৪ই আগস্টে ৩০০০ লোকের বসবাসের স্থানে বিনা নোটিশ, মাইকিং ও কোন প্রকার প্রচারণা ছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
যাহা ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর যে ধরনের হামলা চালিয়ে ছিল ঠিক তেমনি ভাবে বিদ্যুৎ পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানবতার জীবন যাপন করছে। এই ধরনের কাজ করে ও তারা ক্ষান্ত হননি। উচ্ছেদ অভিযানে আমার লোকেরা জিজ্ঞেস করলে তাদের উপর দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা ২টি হলো ২৫/৪০৫ ৩২৬/৪০৬। ভুক্তভোগীরা বলেন, সৈয়দ আব্দুল মালেকের মালিকানা জায়গা ৩৬১ নং দাগে ২০-২৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু জঙ্গল সলিমপুর সীতাকু- এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলাম গফুর প্রকাশ গফুর মেম্বার, গাজী সাদেক ও শাহআলম প্রকাশ গাল কাটা আলমের নিয়ন্ত্রণে একটি ভূমিদস্য চক্র পাহাড় কেটে দেয়াল নির্মাণ করে জায়গাটি দখলের পায়তারা করে আসছে। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, ভাসানচরে যদি সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করে দেয়, আমাদের জন্য কি এদেশে এক মুঠো মাটি ও নেই। জঙ্গল সলিমপুরের শীর্ষ ভূমিদস্য গোলাম গফুর প্রকাশ সাবেক গফুর মেম্বারের সাথে আমাদের প্রতিবেদক বারবার যোগাযোগ করতে চাইলে, তিনি তার মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে সীতাকু- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি আমি অবগত নই। এখন জানতে পার- লাম। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোঃ কামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি