মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি মামলার ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২ সেট পুলিশের পোশাক, ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, ১টি বেল্ট, ২০০ ইউএস ডলার, ২ হাজার সৌদি রিয়াল, ১১ হাজার বাংলাদেশি টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যাবহৃত একটি নোহা গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান। গ্রেফতারকৃতরা হলো জয়নাল আবেদীন ( ৪৮ ) রাজিব মিয়া ( ৩৩ ), জাহাঙ্গীর আলম ( ৫০ ) , মোঃ নাজির আহম্মেদ ( ৫৮ ) ও শাহাজাহান মিয়া ( ৬০। সংবাদ সম্মেলনে সাহেব আলী পাঠান জানায়, রায়পুরা উপজেলার মূছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এলাকার মৃত হুমায়ূন কবিরের ছেলে মোঃ আক্তার হোসেন ( ৩৪ ) ভৈরব হাবিব সুপার মার্কেটে মোবাইল ফোনের ব্যবসা ও হজ্ব এজেন্সীর সাথে কাজ করে আসছে।
গত ১৬ জুন বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে মোঃ আক্তার হোসেন মার্কেটের দোকান বন্ধ করে একটি ল্যাপটপের ব্যাগের ভিতরে ২৫ লাখ ,৮৫ হাজার ৯০০ টাকা ও ২টি মোবাইল সেট নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ভৈরব হতে নিজ বাড়ি রায়পুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটের সময় রায়পুরা থানাধীন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর উত্তর পাড়া ব্রীজের দক্ষিনে পৌঁছলে একটি সাদা নোহা মাইক্রোবাস যোগে ৩/৪ জন সিভিল পোশাক এবং ৩ জন পুলিশের পোষাক পরিহিত লোক তাকে আটক করে। পরে তারা তাকে এলোপাথাড়ী মারধর করে তার সাথে থাকা টাকার ব্যাগসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় তার ভাই মো:দেলোয়ার হোসেন (৩৬) বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান ও ওসি ডিবি আবুল বাশার পিপিএম(বার) এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা, নরসিংদীর এসআই মোঃ নজরুল ইসলাম,এস আই সাদেকুর রহমান সর্ঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ফোর্স সহ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
এসময় ২ সেট পুলিশের পোশাক,১ জোড়া হ্যান্ডকাফ,১টি বেল্ট,২০০ ইউএস ডলার, ২ হাজার সৌদি রিয়াল, ১১ হাজার টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যাবহৃত একটি নোহা গাড়ী জব্দ করা হয়। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রায়পুরা থানায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।