সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোণায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতা সাধারণকে আকৃষ্ট করতে নেত্রকোণার ফ্যাশন হাউজ গুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।জেলা বিভিন্ন বাজারের বিভিন্ন সড়কের পাশে ছোট বড় দোকান ভাড়া নিয়ে ফ্যাশন হাউজ ও তৈরী পোশাকের দোকান দিচ্ছে নতুন নতুন ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এখানে বাড়ছে মানুষের ভিড়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে এই ভিড় রাত ১১টা পর্যন্ত থাকে।
ফ্যাশন হাউজ ও তৈরী পোশাকের দোকানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে নেই কসমেটিকস বিতানগুলো। ঈদকে সামনে রেখে নেত্রকোণায় ফ্যাশন হাউজগুলোয় কেনাবেচার ধুম পড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি। তবে পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র। প্রতিষ্ঠানের সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করেই মালিকেরা শুরু করেছেন বেচাকেনা। নতুন নতুন দোকানে ইতিমধ্যে তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বাজার গুলো।
এর মধ্যে নেত্রকোনা বড় বাজার সহ অন্যান্য ছিট কাপড় ও তৈরী পোশাকের দোকানে সন্ধ্যার পর পরই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। ছিট কাপড়ের দোকানে পছন্দের পোশাক তৈরীর জন্য দর্জিদের কাছে ভিড় করছে তরুণীরা।
গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। অবশ্য নিম্নবিত্তদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে ফুটপাতে বেশ কয়েকটি পোশাকের দোকান দিয়েছে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা। বাজারের ভেতরের চেয়ে এইসব মার্কেটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। দোকানীদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
নেত্রকোনা বড় বাজারের কসমেটিকসের আদ্রিতা দোকানের মালিক বলেন, গতবারের তুলনায় ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কেনাবেচা বেড়েছে বলে তারা জানান। বড় বাজারের প্রিয়াঙ্কা গার্মেন্টেস এ বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়।এখানে সব বয়সের মানুষের পোশাকাদির সমারোহ রয়েছে। নেত্রকোনা বড় বাজারের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলোতে ও কেনাবেচা চলছে সমানতালে। ক্রেতা মোছা. ববিতা খানম, সালমা, আসমা খানম জানান, বাচ্চার জন্য যে বাজেট নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু জিনিসের অনেক দাম। তাতে সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
পালকী ফ্যাশনের মালিক বলেন, বিক্রি শুরু হয়েছে তবে এবার প্রচুর বিক্রির আশা করছি। তিনি আরো বলেন, এবার শাড়ি ও কাপড়ের নতুন নতুন কালেকশন আছে শাড়ি ও কাপড়ের মুল্য ক্রেতা সাধারনের সামর্থের মধ্যেই আছে। নারীদের মত সমানতালে মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন শিশু ও পুরুষরা ও পাঞ্জাবি ও বিভিন্ন ব্যান্ডের গেঞ্জি, টির্শার্ট, ফতুয়া কিনছেন তারা। পোশাকের পাশাপাশি কসমেটিক্স এর দোকানগলোতে ভিড় বাড়ছে।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সি বলেন, ঈদের কেনাকাটা আরামদায়ক করতে দোকানদার ও ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের নিয়মিত টহল পুলিশ কাজ করছেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ ও বাজারে রয়েছেন। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছে পুলিশ। বাজারে স্বেচ্ছাসেবক, রয়েছে রাতে সিকিউরিটির জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে টহল জোরদার এবং পুরো জেলা শহর সিসিটিভির আওতাধীন রয়েছে ।