সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোণায় বর্তমান বাজরে অন্য সব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে শুটকির মাছের দাম। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে শুঁটকি। সপ্তাহের ব্যবধানে ছুরি, ইছা (চিংড়ি), লইট্টা, লাক্ষা, ইলিশ, রূপচাঁদা, হাসু, ফাইস্যা শুঁটকিসহ বিভিন্ন রকম শুঁটকিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, নেত্রকোণায় অনেকটা নিরবে বেড়ে চলেছে শুটকি মাছের দাম। সমুদ্রে, হাওরে, ও বিলে মাছের পরিমাণ কমে গেছে। তাছাড়া মাছের ও লবণের দাম বেড়েছে। করোনার কারণে শুঁটকির আমদানি ও পরিবহন খরচ অনেক আগেই বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। এইসব কারণে নেত্রকোণার প্রতিটি বাজারে শুঁটকির দাম প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে চিংড়ি শুটকি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা করে। যা কিছু দিন আগেও ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তাছাড়া বেড়ে ছুরি শুঁটকির দাম পড়ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রুপচাঁদার দাম। এক সপ্তাহ আগে ভালো মানের রুপচাঁদা শুঁটকি ছিল ১০০ হাজার টাকা কেজি। গতকাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। ৫০ টাকা বেড়ে লইট্টা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, পোপা কেজি পড়ছে ৬০০ টাকা। সাত দিন আগে ছিল ৫৫০। ফাইস্যা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা। আগে ছিল ২৫০-৪৫০ টাকা।
শুঁটকি কিনতে আসা ক্রেতা রফিক বলেন, বাসায় সব সময় ছুরি, চিংড়ি ও লইট্টা শুঁটকি নিয়ে যায়। বাজারে অন্য সবকিছুর মতো শুঁটকির দামও বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। আগে ৫০০ গ্রাম নিয়ে গেলেও এখন নিচ্ছেন ২০০ গ্রাম। বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। মন মত কিছু কিনতে পারি না।
নেত্রকোণা শহরের মাছুয়া বাজারের শুটকি ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, সপ্তাহ খানিক আগেও প্রতি কেজি চিংড়ি শুটকি বিক্রি করতাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা করে। বর্তমানে বিক্রি করছি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে। কেজি প্রতি বেড়ে গিয়েছে ২০০ টাকা করে। এই রকম সব ধরণের শুটকি মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগরে অথবা হাওর ও বিলে মাছ ধারা বন্ধ, তাছাড়া সবকিছু দাম বেশি তাই শুটকি মাছের দাম বেড়েছে।