অস্তিত্ব হুমকির মুখোমুখি হলিই কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে বলে রাশিয়া যে হুমকি দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। ইউক্রেন যুদ্ধ মস্কো এবং পশ্চিমের মধ্যে পারমাণবিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ না করায় রাশিয়াকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে এই জোট।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, এ ধরনের বিপজ্জনক দায়িত্বজ্ঞানহীন পারমাণবিক বাগাড়ম্বর বন্ধ করা উচিত রাশিয়ার। তবে যেকোনো সময় যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে মিত্রদের সুরক্ষা ও রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের নেতাদের বিশেষ সম্মেলন শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে অবশ্যই বুঝতে হবে তারা কখনই পারমাণবিক যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না।
জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘ন্যাটো ইউক্রেন সংঘাতের অংশ নয়… তারা কেবল ইউক্রেনকে সমর্থন করছে।’
পশ্চিমা সামরিক জোটের এই মহাসচিব বলেন, ‘ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না ন্যাটো। ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা সেটি করে যাচ্ছি। কিন্তু একই সাথে এই সংঘাত যাতে ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে পরিণত না হয়, সেটি ঠেকানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে, বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ক্রিশ্চিয়ান আমানপোরের এক প্রশ্নের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে যদি তার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট পুতিন বিবেচনা করছেন কি না, সিএনএনর এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার একটি নিয়ম আছে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সকল কারণ আপনি সেখানে পড়তে পারেন।’
পেশকভ বলেন, ‘সুতরাং এটি (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা) যদি আমাদের দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়, তাহলে আমরা এটি (পারমাণবিক অস্ত্র) নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারি।