নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
জেলা প্রশাসক নামটি যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ের কারণ হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকজন মানবিক, হৃদয়বান ও প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলেকিত মানুষের সন্ধান মেলেছে যারা জেলা প্রশাসক শব্দের সেই পুরনো ধারনা রীতিনীতি আর সাধারণ মানুষের মাঝের শংকাকে ভালোবাসা দিয়ে, মানবিকতা দিয়ে, উদারতা দিয়ে পরিবর্তন করে চলেছেন।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করেছেন জেলা প্রশাসক মানে একটি বৃহৎ বটগাছ। যার রয়েছে বিস্তৃত ছায়া আর নিরাপত্তার ডাল-পালা। যার ভিতরে রয়েছে মানবিকতার এক প্রবাহমান ঝর্ণাধারা। যার চোখ থেকে বিচ্ছুরিত হয় ভালোবাসার অমিয় সূধা। যার বিবেক সুউচ্চতায় দন্ডায়মান। জেলা প্রশাসকের আদলে যিনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ। যার মনুষত্ব্য সকল বিভেদ ভেঙ্গে ধনী-গরীব, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের গান গেয়ে ওঠে। অসহায় মানুষের মর্মবেদনায় যার ভিতর হাহাকার করে ওঠে। আর অভুক্তের মুখে খাবার তুলে দিতে পারলে, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদিলে, নির্যাতিতের পাশে শক্ত হয়ে দাড়ালে যার মন ও বিবেক প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। আমাদের নেত্রকোনা জেলার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে মানুষগুলো নিজেদের মানবিকতা, ভালোবাসা ও উদারতা উজাড় করে সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে মিশিয়ে নেন তিনি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। ইতিপূর্বে গণশুনানীতে নিজে নিচে নেমে সাধারন মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ বাতলে দিয়ে সাধারণ মানুষের আপনজনে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া তার অফিসে গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক, একজন মুটে-মজুর গেলেও তার সাথে হাসিমুখে কথা বলে তিনি সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
মানুষের মধ্যে মানবিকতা নেই। মানবিকতা হারিয়ে গেছে। কেউ আজ আর মানুষ নয়; এমন অনেক কথা সমাজে বলা হলেও আমরা যারা এই কথাগুলো বলে থাকি তারাই কিন্তু বুলি আউড়াই, কেউ এগিয়ে আসি না’। মানবতা এখনো আছে; তার বড় ধরনের পরিচয় দিলেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। নেত্রকোনায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক ব্যতিক্রমী চিন্তা চেতনায় আকৃষ্ট করলেও এবার এক অকল্পনীয় ও অভাবনীয় নজির স্থাপন করেছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।বেশ কয়েকদিন আগে সকালে অফিসে আসার পথে চোখে পরে এক অসহায় বৃদ্ধার। জরাজীর্ণ তেল চিটচিটে পোশাক, যবুথবু শরীর, একদম মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতেও পারেন না। বয়সের ভারে কুব্জ হয়ে পড়েছেন। সেই সাথে দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। কুচকে যাওয়া চামড়ার ভাজে বঞ্চনার দগদগে ঘা। স্বভাবজাত ভাবেই বৃদ্ধাকে নিয়ে আসলেন অফিসে। বিশেষ সূত্রে জানা যায় কলমাকান্দা থেকে এসেছিলেন, বয়েসের ভারে নিজের নাম বলতে পারেন নি ঐ বৃদ্ধা।
প্রতিনিয়ত এমন অনেক ঘটনা যিনি ঘটিয়ে চলেছেন তিনি আর কেউ নন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। যিনি ইতিমধ্যে তার সততা, জনসেবা ও নানামুখী উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে জনবান্ধব প্রশাসন গঠনের মাধ্যমে জনগণের মনি কোঠায় অবস্থান করছেন, প্রশংসিত হচ্ছেন সর্ব মহলে। তখন আর্থিক সাহায্য প্রদান করে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, বললেন কখনও কোন সমস্যায় পড়লে আবারও অফিসে আসবেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকলেই তখন হতবাক। আর সেই বৃদ্ধা যেন নিজের সন্তানের মতো হৃদয় থেকে দোয়া করলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের জন্য, এরকম অনেক মানবিকতার উদাহরণ এই মানবিক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আমরা এসেছি জনগণের সেবা করতে, সেবা দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে।তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমি নেত্রকোনা জেলার সর্বমোহলের সহযোগিতা চাই।