নিজস্ব প্রতিবেদক
গণঅবস্থান কর্মসূচি সফল করতে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কের একপাশে ১৭ স্থান নির্ধারণ করে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট মঞ্চ করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়কে ত্রিপল বিছিয়ে বসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফুটপাতে কিছু চেয়ার বসানো হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। মাইকে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের নেতাকর্মীদের নির্ধারিত জায়গায় বসার অনুরোধ করছেন। পাশাপাশি বলা হচ্ছে- যেহেতু নির্ধারিত স্থানে আর জায়গা নেই, এই অবস্থায় যে যেখানে পারেন বসে যান। সামনে এগুবেন না। দেখা যায়, মূল সড়ক ছাড়িয়ে আশপাশের গলিতেও নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
দলের নেতাকর্মীরা নির্ধারিত স্থানে বসছেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সিনিয়র নেতারা অবস্থান নিয়েছেন। ফকিরাপুল মোড়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব আছেন- ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও সদস্য রফিকুল আলম মজনু। এখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হামিদুর রহমান, হাবিবুর রশিদ হাবিব এবং ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
নাইটিঙ্গেল মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতৃত্বে আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু ও তাবিথ আউয়াল।
সিটি হার্টের সামনে ঢাকা জেলার নেতৃত্বে আছেন- সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- ডা. দেওয়ার সালাহউদ্দিন বাবু, তমিজ উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন মাস্টার।
নয়াপল্টনে থানার বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃত্বে আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নেতৃত্বে আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য আবুল আল ইউসুফ খান টিপু। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম আজাদ, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু এবং আব্দুল মান্নান। একই স্পটে নরসিংদী জেলার নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুলতান উদ্দিন মোল্লা ও সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- শিরীন সুলতানা, জয়নাল আবেদীন, আশরাফ উদ্দিন বকুল, কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।
ঢাকা ব্যাংকের সামনে মানিকগঞ্জ জেলার নেতৃত্বে আছেন- সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহ, টাঙ্গাইল জেলার নেতৃত্বে সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, ওবায়দুল হক নাসির এবং মোহাম্মদ আলী।
গাজীপুর জেলার নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান এবং মহানগরের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মঞ্জুরুল করিম রনি ও সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাইয়েদুল আলম বাবুল, মজিবুর রহমান এবং ডা. মাজহারুল আলম।
মুন্সীগঞ্জের নেতৃত্বে আছেন- শাজাহান খান, আলী আজগর রিপন মল্লিক। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন- এম এ মালেক, বাবুল আহমেদ ও রহিমা শিকদার।
হক বে থেকে পুবালী ব্যাংকের সামনে ছাত্রদলের নেতৃত্বে সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।আছেন।
পুবালী ব্যাংকের সামনে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আকম মোজাম্মেল হক। হক বে’র সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে আছেন সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।
আনন্দ ভবনের সামনে কৃষক দলের নেতৃত্বে আছেন- সভাপতি হাসান জাফির তুহীন এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন ওমর ফারুক শাফিন। পুবালী ব্যাংকের সামনে সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে মহিলা দল। হোটেল ভিক্টোরীর সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান রিপন।
চায়না মার্কেটের সামনে জাসাসের নেতৃত্বে আছেন সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে মৎস্যজীবী দলের নেতৃত্বে আছেন আবদুর রহিম। মসজিদের সামনে শ্রমিক দলের নেতৃত্বে আনোয়ার হোসাইন। এ ছাড়াও মসজিদের সামনে ওলামা দল, তাঁতী দল নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট এবং সংগঠন রাজধানীর ছয়টি স্পটে গণঅবস্থান কর্মসূচি করছে। এদের মধ্যে সাত-দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে; ৪-দলীয় জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পূর্বপ্রান্তে; ১২-দলীয় জোট বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে; ১২-দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন প্রীতম হোটেলের বিপরীতে; কর্নেল (অব) ড. অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) পূর্ব পান্থপথ এবং মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম তাদের আরামবাগস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অভিন্ন সময়ে এ কর্মসূচি পালন করবে। এ ছাড়াও ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সমমনা গণতান্ত্রিক জোট গণঅবস্থান কর্মসূচি করছে।
রাজধানী ঢাকার বাইরের ৯ সাংগঠনিক বিভাগেও একযোগে গণঅবস্থান কর্মসূচি করছে বিএনপি। গণঅবস্থান শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে করতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সিলেটে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহীতে ড. আবদুল মঈন খান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশালে সেলিমা রহমান, রংপুরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে কুমিল্লায় বরকত উল্লাহ বুলু, খুলনায় শামসুজ্জামান দুদু এবং ফরিদপুরে অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
এ ছাড়াও কেন্দ্র গঠিত সমন্বয় টিমের দলনেতা, সমন্বয়কারী, সমন্বয় সহযোগীসহ বিভাগের অন্তর্গত জেলাসমূহের অধিবাসী কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্ট, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদক, সদস্য, জেলা, উপজেলা ও মহানগরসহ অন্য নেতৃবৃন্দকে স্ব-স্ব বিভাগীয় সদরের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।