ইউক্রেনে রকেট হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক আজ দেশে ফিরেছেন। ২৮ নাবিক দেশে ফিরলেও আনা হয়নি হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ। তবে বিমানবন্দরে এসেছিলেন হাদিসুর রহমানের স্বজনরা।
বুধবার (৯ মার্চ) বিমানবন্দরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিদুর রহমানের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, সবার ভাই আসলো, আমার ভাই কই। ও ভাই। আমার ভাইরে আইনা দেন। ও ভাই। আমার পড়ালেখার খরচ কে চালাবে। আমাদের সব শেষ। ভাইরে, আমার ভাই।
এ সময় হাদিসুরের চাচাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার বলেন, আমরা আমাদের ভাইয়ের মরদেহ সঠিকভাবে বুঝে পেতে চাই। হাদিসুর তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার ছোট দুই ভাইকে যদি সরকার কোনো চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তবে পরিবাটির জন্য ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আমাদের চাওয়া।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। গত ২ মার্চ ইউক্রেনের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিট) জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এ হামলায় মারা যান হাদিসুর রহমান।
পরদিন ৩ মার্চ ২৮ নাবিককে সরিয়ে ব্যাঙ্কারে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের মলদোভা হয়ে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। রোমানিয়া থেকে ২৮ নাবিক দেশে ফিরলেও নিহত হাদিসুরের মরদেহ আনা হয়নি। ইউক্রেনের একটি মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে তার মরদেহ। সুবিধাজনক সময়ে মরদেহটি দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে।