আগামী ০১ নভেম্বরের মধ্যে অটোরিক্সার লাইসেন্স করতে হবে মর্মে পৌরসভা এরই মধ্যে মাইকিং করেছে।০৫সিটের জন্য ৫০০/ততোধিক সিটের জন্য প্রতি রিক্সাওয়ালাকে দিতে হবে ১২০০/টাকা।আমরা জানি, এই অটোগুলোতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়,এদের নিয়ন্ত্রনহীন বেপরোয়া গতির কারনে যাত্রীদের প্রায়ই দূর্ঘটনায় নিপতিত হয়ে পঙ্গু হতে হয়।এমনকি অটো দূর্ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত আমরা দেখেছি।দূর্ঘটনাপ্রবন এসব অটোগুলোকে একারণেই হয়ত হাইওয়েতে উঠতে দেওয়া হয়না।এগুলোর কারণে প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য বড় গাড়িগুলো এদের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকে।এসব কারনেই হয়ত এগুলো একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার জোড়ালো দাবীও মাঝে মাঝে উত্থাপিত হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যারা এর উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে এদেরকে বেকার করে পথে বসিয়ে দেয়া কী বুদ্ধিমানের কাজ হবে?একজন অটোড্রাইভারের বউ বাচ্চাসহ সংসার পরিচালনায় তার একটা ব্যায় রয়েছে।সামাজিক সচেতন মানুষ হিসেবে আমাদের ভেবে দেখা দরকার অটো মালিককে ৩০০/টাকা জমা দেয়ার পর সংসারের খরচ মিটানোর জন্য তার কত টাকা থাকে।এ টাকা দিয়ে চাল,ডাল,তেল,লবন ছেলে মেয়ের স্কুল খরচ,চিকিৎসার ব্যায়ভার মিটানো আদৌ কী সম্ভব?তার উপর ৬০০/১২০০টাকা পৌরসভাকে ফি বছর দিতে হয় লাইসেন্স নবায়নের জন্য।শুধু কী তাই মাওনা চৌরাস্তায় প্রতিদিন ২০/টাকা , শ্রীপুরে ১০/টাকা কখনো কখনো আনসার রোডে প্রতিদিন প্রতি রিক্সাকে দিতে হয় ১০ টাকা হারে চাঁদা।এই যদি হয় সামগ্রিক অবস্থা তাহলে এই বিশাল অংকের সুবিধাবন্চিত মানুষগুলোর ভবিষৎ কী?
তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর কতকগুলো সুস্পস্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরছি, সদিচ্ছা থাকলে যা বাস্তবায়ন অসম্ভব নয়।
০১/ অটো রিক্সা তুলে দিলে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুন।
০২/বিনামূল্যে লাইসেন্সের ব্যাবস্থা করুন নতুবা
(ক)২/৩ মাস পর পর বি আর টি এ কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষ দিয়ে ড্রাইভারদের প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করুন।
(খ)পৌরসভা কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত লোক দিয়ে গাড়ির ব্রেক, হুইসেল লাইট ইত্যাদি পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হউক।
(গ)শ্রীপুর মাওনা আনসার রোডে গরীব মানুষগুলো থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করুন।
০২/ অটো চার্জের জন্য স্বল্প বিলের চার্জিং বিদ্যুৎ মিটারের ব্যবস্থা করা উচিৎ।
০৩/লাইসেন্স ফি কমিয়ে সর্ব্বোচ্য ৫০০/টাকা করা যেতে পারে।
০৪/নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হউক।
০৫/একটি অটোতে সর্ব্বোচ্য কতজন যাত্রী চড়বে তা নির্ধারণ করে দেয়া হউক।
০৬/মহাসড়কে কোন কারনে অটো উঠা মাত্র পুলিশী হয়রানী বন্ধ করা হউক।
০৭/চড়া সুদে অটোচালকদের ঋনে আবদ্ধ করে সর্বস্ব খোয়ানোর হাত থেকে খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হউক।
০৮/সমগ্র শ্রীপুরে কতগুলো অটো চলাচল করে তার একটি নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তৈরি হউক।
০৯/একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর নতুন করে কোন অটো চলাচলের জন্য তৈরির পারমিশন দেয়া বন্ধ করা হউক।
১০/যত্রতত্র অটো গ্যারেজ তৈরির উপর যথাযথ তদারকির ব্যাবস্থা করা হউক।
ব্যাটারীচালিত অটোগুলোকে সুশৃঙ্খল ব্যাবস্থাপনার মধ্যে এনে জনগনের চলাচলকে নির্বিগ্ন করতে আপনার আমার সকলের পরামর্শে একটি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা তৈরি হউক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।