গরম পড়ে গেছে। সঙ্গে বাড়ছে মশার উৎপাত। মশার বারবাড়ন্ত মানেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার হানা। মশা কামড় দিলেই লাল দাগ, বেদনাদায়ক প্রদাহ আর চুলকানির হয়রানি। বিরক্তিকর এই চুলকানি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার—
১. বরফ
ফোলাভাব কমাতে আক্রান্ত স্থানে চূর্ণ বরফ লাগাতে পারেন। বরফ ত্বককে অসাড় করে দেয়, যা ব্যথা এবং জ্বালা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে পারেন। ‘কোল্ড প্যাক’ও ব্যবহার করতে পারেন। তবে বরফ সরাসরি ত্বকে ৫ মিনিটের বেশি রাখবেন না, এতে ত্বকের কোষের ক্ষতি হতে পারে।
২. মধু
মধু প্রদাহনাশক এবং ব্যাক্টেরিয়ানাশক গুণে ভরপুর। মধু ত্বকের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। মশার কামড়ে ব্যবহার করা যেতে পারে মধু। প্রদাহ কমাতে চুলকানির উপর অল্প পরিমাণ মধু লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. অ্যালোভেরা
অনেকেই এখন বাড়িতে অ্যালোভেরার গাছ লাগান। অ্যালোভেরার জেলে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্ষত এবং ফোলা নিরাময়ে সাহায্য করে। শুধু মশা নয়, অন্য পোকার কামড়ের জন্যও এক টুকরো অ্যালোভেরা সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
৪. বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচের মাত্রা স্বাভাবিক করে ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ বেকিং সোডায় কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপরে অল্প করে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
৫. তুলসি
তুলসি পাতায় ‘ইউজেনল’ নামক একটি যৌগ থাকে; যা প্রদাহ কমায় এবং জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়। এক কাপ পানিতে কয়েকটি তুলসি পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে এক টুকরো তুলো ওই পানিতে ডুবিয়ে কামড়ের স্থানে আলতো করে ঘষুন।
৬. পেঁয়াজ
মশার কামড়ে কয়েক ফোঁটা পেঁয়াজের রস দিতে পারেন। এ রস জ্বালা-পোড়া কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের ছত্রাকনাশক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।