ব্যানবেইস কেবল শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেয়। কারণ, বিশ্লেষণ করে না। ফলে কী কারণে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী কমেছে, আর মাদ্রাসায় বেড়েছে, সে বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন থেকে কিছু জানা যায়নি। তবে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, এখানে করোনার একটি প্রভাব রয়েছে।
ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে মাদ্রাসা ছিল ৯ হাজার ২৯১টি। এর মধ্যে মাত্র তিনটি সরকারি। বাকিগুলো বেসরকারি মাদ্রাসা। দেশের মাদ্রাসাগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫২ জন। আগের বছর মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ছিল ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৯ জন, আর মোট মাদ্রাসা ছিল ৯ হাজার ৩০৫টি। এক বছরের ব্যবধানে এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। এই তথ্য বলছে, মাদ্রাসা কমলেও বেড়েছে শিক্ষার্থী।
অবশ্য ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে কেবল সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রাথমিকোত্তর মাদ্রাসাগুলোর তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেখানে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল স্তরে পড়ানো হয়। যা যথাক্রমে সাধারণ ধারার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি ও স্নাতকোত্তরের সমতুল্য।
ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে। এখন দেশে এই দুই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১৬০টি। যা ২০২০ সালে ছিল ১৫১টি।
সব মিলিয়ে এখন প্রাথমিকোত্তর বিভিন্ন স্তর মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজারের বেশি; যা ২০২০ সালে ছিল ১ কোটি ৯৪ লাখের বেশি। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা ২০২১ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি অনুযায়ী, শুধু প্রাথমিকে মোট শিক্ষার্থী ২ কোটি ৯০ হাজার ৫৭ জন। করোনাকালে এক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিকে মোট শিক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ১৪ লাখের বেশি।