জুবায়ের,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী-মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছেন রাজশাহীর ১১৪৯টি পরিবার। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে গৃহহীনরা ইদ উপহার হিসেবে এসব ঘর পাবেন।
২০২০ সালের ৭ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না।’ তার এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর, আর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞে রাজশাহীতে ১ম ধাপে ৬৯২টি ও ২য় ধাপে ৮৫৪টি সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পেয়েছেন গৃহহীন ও ভূমিহীনরা।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের জানান, ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩য় ধাপে রাজশাহীর ৯ উপজেলার ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ১১৪৯টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে হস্তান্তর করবেন। এছাড়াও ৩য় পর্যায়ে ১২৬৭টি ঘরের মধ্যে ১১৪৯টি ঘরের চাবি তুলে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, রাজশাহীর ৯টি উপজেলার ১২৬৭টি পরিবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পবায় ১৫০টি, মোহনপুরে ৯২টি, তানোরে ১৬১টি, গোদাগাড়ী ২২৯টি, বাগমারায় ১৬০টি, দুর্গাপুরে ১৫৫টি, পুঠিয়ায় ১৮০টি, চারঘাটে ৬৫টি এবং বাঘায় ৭৫টি পরিবার ঘর পাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার উল্লেখ্য পূর্বক জেলা প্রশাসক বলেন, বৃহৎ এ কর্মযজ্ঞে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ষাটোর্দ্ধ প্রবীণ ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। খাস জমিতে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করে একক গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে থাকবে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ঘরগুলো নির্মাণে কোনও প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি যাতে না হয় সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিষয়টি তদারকি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক, (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরে