আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার ” এই মূলমন্ত্রকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে তৃতীয় ধাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসাবে ৫২০টি পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানা কাগজপত্র ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় ঈদকে সামনে রেখে উপকারভোগী প্রত্যেক পরিবারের হাতে একটি শাড়ি এবং একটি লুুঙ্গি তুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়।
ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে তাদের মধ্যে ঈদের আমেজের মাত্রা বেড়েছে। এবারের ঈদ নিজ ঘরেই উদযাপন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।
প্রশাসনের তথ্যমতে, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায় এ উপজেলায় নির্মাণাধীন ৬১৮টি ঘরের মধ্যে নির্মিত ৫২০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের এমপি মহিব্বুর রহমান মহিব, বিশেষ অতিথি পটুয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন প্রমুখ। এ দিকে, ঘরের চাবি ও জমির কাগজের সঙ্গে শাড়ি-লুঙ্গি পেয়ে খুশি উপকারভোগীরা। কথা হয় উপকারভোগীদের একজনের সঙ্গে,কথা বললাম। নাম আফিনুর বেগম (৫০)। পেশায় গৃহকর্মী। যার ছিল না এক টুকরো জমি কিংবা মাথা গোঁজার জন্য ঘর। অন্যের বাড়ি আর ভাড়া বাসায়ই কেটেছে জীবন।
তিনি এ পর্যায় উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মুজিব বর্ষের নির্মিত একটি পাকা ঘর পেয়েছেন। তার অনুভূতি জানতে চাইলে আনন্দঅশ্রু চোখে আফিনুর বেগম বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করতাম। নিজের কোন জায়গা জমি ঘর আছিল না। ভাড়া ঘরে থাকতাম। ছেলে সন্তান নিয়া অনেক কষ্ট করছি। ওদের (সন্তানদের) মন ছোট থাকতো। এখন প্রধানমন্ত্রী আমারে ঘর দিছে। আমি অনেক খুশি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত ৪০০ জনের হাতে ঘরের চাবি ও জমির মালিকানা কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসক স্যারের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২০ জনের চাবি ও কাগজপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের জন্য এ উপজেলায় মোট এক হাজার ৮৮৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রথম পর্যায় ৪৯১, দ্বিতীয় পর্যায় ৭৭৬ ও তৃতীয় পর্যায় ৬১৮টি ঘর বরাদ্দ হয়। হতদরিদ্র পরিবার ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মোঃলোকমান,রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি