আদম আলী রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে ফ্লিমই স্ট্যাইলে গৃহবধুর নিকট থেকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা ও ২ টি স্বর্ণের বার ২ টি রুলি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধু হলেন নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী গ্রামের হানেফ শেখের স্ত্রী।
ভূক্তভোগী গৃহ বধু নাজমা বেগম জানান সৌদি প্রবাসী ছেলে বাকী বিল্লাহ তার প্রবাসী চাচা ইদ্রিস শেখের নিকট দেশে আসার সময় ২ টি স্বর্ণের বার ও ২ টি রুলি দেয়। দেশে ফিরে চাচা ইদ্রিস শেখ স্বর্ণের বার ও রুলি নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে নিজের মেয়ে মৌরাট ইউনিয়নের বড় চৌবাড়ীয়া গ্রামে ইভার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।
ইভা সৌদি প্রবাসী চাচাতো ভাই বাকী বিল্লার নিকট ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে, মালামাল ফেরৎ দেওয়ার শর্তে। নাজমা বেগম ও তার স্বামী হানেফ শেখ এলাকার আত্নীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে ৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি সুরাহার জন্য হাজির হয়।
মৌরাট ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য কোরবান আলী পরিষদের ২ তলায় শালিশী বৈঠকে বসে। শালিশী বৈঠকে সিন্ধান্ত অনুযায়ী ইউপি সদস্য কোরবান আলী ও নারুয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামের উপস্থিতিতে ৪ লক্ষ নগদ অর্থ ইদ্রিসের বিয়েই সুলতানের নিকট বুঝে দেয়। এরপর দুটি সোনার বার ইউপি সদস্য কোরবান আলী আবুল কালামকে দেয়।
বৈঠক শেষে আবুল কালাম সোনার বার গৃহবধু নাজমা বেগমকে বুঝে দেয়। সোনার বার নিয়ে গৃহবধু তার লোকজন সহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নামা মাত্রই দূরবৃত্ত সুলতানের নেতৃত্বে ৮/৯ জন নাজমা বেগম সহ সঙ্গীয়দের উপর নগ্ন হামলা চালায় এবং মারধর করে স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। ভূক্তভোগীদের আত্ন চিৎকারে এলাকাবাসী জমায়েত হলে বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে পাংশা মডেল থানা পুলিশকে অবগত করানো হয়। পাংশা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য কোরবান আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানা পুলিশ প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোরবান আলীকে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী নাজমা বেগম বাদী হয়ে সুলতান সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল। বিষয়টি নিয়ে মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রামানিক কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এ শালিশ বিচারে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে তার ইউপি সদস্য কোরবান আলী আমার প্রতিনিধি হিসাবে শালিসে উপস্থিত ছিলো। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য কোরবান আলীর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানায় প্রবাসী বাকী বিল্লার সঙ্গে তার চাচা ইদ্রিসের অর্থনৈতিক লেনদেনে একটি জটিলতা ছিলো, যার কারনে এই নগদ অর্থ লেনদেন করা হয়।