জাহিদ হাসান,লামা(বান্দরবান)প্রতিনিধি: লামায় নৃ-গোষ্ঠির মাঝে ছড়িয়ে পড়া কলেরা রোগের চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম অব্যাহত সেবা দিয়ে চলছে।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে লামা রুপসিপাড়ার কয়েকটি উপজাতি পল্লীতে হঠাৎ ডাইরিয়া দেখা দেয়। সাথে সাথে আলীকদম জোনের তত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম নৃ-গোষ্ঠির মাঝে চিকিৎসা সেবা শুরু করেন।প্রতিদিন সেনাবাহিনীর সিকিৎসা দল জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলছে।
জানাগেছে, গত ২৪ এপ্রিল রুপসী পাড়া আর্মি ক্যাম্পে’র আওতাধীন মিনতুই পাড়ায় হঠাৎ বেশ কিছু নারী পুরুষ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রুপসী পাড়া আর্মি ক্যাম্প, আলীকদম জোন কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে, ২৫ এপ্রিল থেকে চিকিৎসা প্রধান শুরু করেন।
ডা: ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামান তুর্যের নেতৃত্বে একটি ম্যাডিক্যাল টিম বড় কলার ঝিরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম দিনে ১২৫ জন রুগিকে চিকিৎসাসহ বিনা মুল্যে ঔষধ বিতরন করেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন,মহিলা ৪৬ জন, শিশু ৩৩ জন, বাংগালী নারী পুরুষ ১০ জন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সেনাবাহিনীর চিকিৎসা টিম ২৬ এপ্রিলেও চিকিৎ সেবা দিয়েছেন। রোগ নিয়ন্ত্রনে আসা পর্যন্ত সেনাবাহিনী চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন বলে জানাগেছে
।প্রসঙ্গত: বছরের ঠিক এই মৌসুমটাতে দুর্গম পাড়াগুলোতে কলেরা রোগের প্রবণতা দেখা দেয়। এর কারণ হিসাবে জানাযায়, শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঝিরি ঝর্ণাগুলো থেকে বৃষ্টির পানি পান করায়, এ রোগে আক্রান্ত হয় দুর্গমের বাসিন্দারা। প্রথম বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে আসা পাহাড়ের ময়লা বা রাসায়নিক মিশ্রিত পানি পানে সতর্ক হলে মূলত এই রোগ নিয়ন্ত্রণ বা এ থেকে পরিত্রাণ মিলবে।