জাহিদ হাসান,বান্দরাবন প্রতিনিধি: লামায় ফেরত দেয়া ত্রাণ উপজেলা সদরে এসে নিলেন উপজাতি পরিবারগুলো।প্রেক্ষাপট লামা সরই মেরাইত্যা নয়াপাড়া ও লাংকুম ম্রো পাড়া। ভূমি দখল নিয়ে মূল সমস্যা।এদিকে মান ভুলে প্রশাসনের সেই ত্রাণ গ্রহন করলেন উপজাতিরা।৯ মে বিকেলে উপজেলা সদরে এসে তিন পাড়ার লোকজন ত্রাণ সামগ্রী বুঝে নিলেন।
এসময় তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করেন।উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেছেন।প্রসঙ্গত : লামা সরই ইউপির রেং ইয়াংপাড়ায় না খেয়ে আছে বা লতা পাতা খেয়ে আছে কয়েকটি উপজাতি পরিবার। দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকসহ বেশ কটি দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
খবর পেয়ে ৮ মে রবিবার লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ সেখানে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান। দুপুরে পাড়ার লোকজন খুশীমনে ত্রাণ নেয়।তার কিছু সময় পরে তারা ওইসব ত্রাণ সামগ্রী ফেরত দেয়। কারণ হিসেবে জানান, এসব ত্রাণ লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে দেয়া হয় ভেবেই মূলত তা ফেরত দেয় উপজাতিরা।
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, ”বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাড়ায় ত্রাণ নিয়ে গেলে বাসিন্দারা প্রথমে ত্রাণ গ্রহণ করেন।
তিনি জানান, পরে সেখানে রাবার কোম্পানির কর্মীদের উপস্থিতির অভিযোগ এনে সেই ত্রাণ আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে”।সরকারি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন নেই তাদের(!)। তাদের প্রতি সহনুভূতি দেখিয়ে কেন কোন উদ্দেশ্যে গল্প তৈরি করছি। খাদ্য সংকটের মতন একটি মানবিক ইস্যু তৈরি করা, বর্তমানে একটি মহলের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, এসব কিছু নাটক। আর এই নাটকের গুরু কে, তাও তারা জানেন। কিন্তু জানতে চাই না সংশ্লিষ্টরা(!)।
সরই ইউপির বাসিন্দারা প্রশ্ন করেন, “আমরা কি বাংলাদেশের নাগরিক(?)। যদি হয় তা হলে, প্রচলিত আইন আর প্রথাগত আইন, কোনো একটাতো মানতে হবে। রাষ্ট্রীয় আইনে কাগজ যার ভূমি তার।” এর বাহিরে ভূমির মালিক সরকার।প্রথাগত আইনে রাজা বা হেডম্যানের ক্ষমতা বলে পতিত খাস ভূমিতে নির্ধারিত খাজনা পরিশোধ সাপেক্ষে পাহাড়ি পরিবারগুলো নির্দিষ্ট পরিমান ভূমিতে জুম চাষ করবে।এ ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া জমিতে কোনো মহলের ইঁন্ধনে জবর দখল করে সেখানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করাচ্ছে কেন?। সরকার প্রদত্ত লীজ হর্টিকালচার প্লটের বৈধতা নিয়ে কারো সংশয় আছে নিশ্চয়। যদি থেকে থাকে তা হলে আইনদ্বারা লড়তে হবে।এর বাহিরে গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রশাসনের সামনে বে-আইনি আচরণ কেন করছে কিছু মুরুং ত্রিপুরা লোকজন। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ইজারা ভূমির উপর নতুনপাড়া তৈরি করেছে যারা। তাদের প্রত্যেকের স্থায়ীপাড়া আছে। এর পরও আশ্রয়ের নামে, কাদের উদ্দেশ্য প্রনোদিত ইঁন্ধনে তারা লামা রাবারের লীজকৃত ভুমিতে ঘর তৈরি করেছে মর্মে একটি সূত্র দাবি করেছেন।
এরা কোন মহলের আস্কারা পেয়ে রাষ্ট্রের কোনো নিয়ম কানুন না মেনে অস্থিরতা করে চলছে, এটা খোঁজে বের করা রাষ্টের দায়িত্ব।সংকট নিরসনে এগিয়ে আসা প্রশাসনকে না করার হেতু কি? ইত্যাদি প্রশ্ন জেগেছে লামাবাসীর।লামা সরইতে কোয়ান্টাম গুরু মানবিক সেবার নাম করে হাজার হাজার একর জমির একক মালিক হয়ে, সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র করছে কিনা? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।