মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন সাতারকুল পাঁচ খোলা এলাকায় শ্রী শ্রী পাঁচ খোলা কালী মন্দিরে ৪ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পাঁচখোলাবাসীকে কালী মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার বাসনা পুরনের জন্য চারদিন জুড়ে আয়োজন করা হয়েছে শ্রী শ্রী কালী পূজার নানা রকম কর্মসূচি।
গত ১৯ নভেম্বর ২২ ইং বাংলা ২ রা অগ্রহায়ণ ১৪২৯ রোজ শনিবার রাত ১২:০১ মিনিটে কালি মায়ের পূজার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান কার্যক্রমের প্রথম দিন শুরু ও পূজার প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শেষ করা হয়।৪ দিন যাবৎ উদযাপন করা কালি পূজাকে গিড়ে অন্যরক এক আনন্দ ক্ষন মূহূর্ত উপভোগ করেছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। ধর্মাবলম্বীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গন।ছোট বড় সকলের মাঝে আনন্দ ফুর্তি উপভোগের দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মতো।পূজা আয়োজনের মধ্যে মেলার মাঠে শত শত লোকের সমাগম ঘটে।সারি সারি সাজানো দৃষ্টি নন্দন বিভিন্ন সব বাহারী খাবার আর মিষ্টি মন্ডপের সু-স্বাদু তৃপ্তিদায়ক আদি স্বাদ ভুলার মতো নয়।
আয়োজন কর্মসূচির অংশ অনুযায়ী দ্বিতীয় দিন ২০ নভেম্বর সকালে ভাগবত গীতা পাঠ ধর্মীয় আলোচনা ও রাতে আরতী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পূজা উদযাপন পরিষদ।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো লীলা কীর্ত্তন যা ভক্ত বৃন্দের মনে অন্যরকম এক দোলা সৃষ্টি করে।গত কয়েক দশক ধরে পূর্ব পুরুষের রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী এই মন্দিরে এমন আয়োজন করেন মন্দির কমিটির সদস্য বৃন্দরা।
আয়োজিত পূজা কর্মসূচির শেষ দিন ২২ নভেম্বর ২২ ইং মঙ্গলবার সকাল ১০ টা হতে সারা দিন ধরে চলে লীলা কীর্ত্তন।অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন পরিবেশন করেন সূরলা কন্ঠের অধিকারী শ্যামলী রাণী মন্ডল। বিকালে মহাপ্রভুর ভোগরাগ ও প্রসাদ বিতরণ এবং রাতে এলাকাবাসীর পরিবেশনায় ধর্মীয় যাত্রা পালা রাবন বধ অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা কর্মসূচির সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে আলহাজ্ব এ কে এম রহমত উল্লাহ সংসদ সদস্য ঢাকা- ১১ ও সাবেক সভাপতি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে ডিএনসিসির ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডাঃ আব্দুল মতিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত না থাকলেও তার প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পূজা আয়োজক মন্দির কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সুদেব সরকার বলেন,এই আয়োজন আমাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের একটি অংশ। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এভাবেই এই পূজার আয়োজন করে আমাদের সবইকে মা কালীর চরণ ধূলি নেওয়ার ব্যবস্থা করে ।আর আমরা এক মিলন মেলার মাধ্যমে মায়ের পবিত্র চরণ ধূলি নিয়ে প্রশান্তি পেয়ে থাকি।আমরা পূজা ও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আয়োজিত পূজা উদযাপন সফল করতে আরো যারা বিভিন্ন ভাবে স্বার্বিক সহায়তা করেছেন তারা হলেন মন্দির উপদেষ্টা মন্ডলী বিনন্দ সরকার,মুল্লক চাঁন সরকার,হরিচাঁন সরকার,আসাধন সরকার,মুক্তারাম সরকার, রাধা চাঁন সরকার,সূর্য্য মোহন সরকার ,উপেন্দ্র সরকার ও হরি কুমার সরকার।