২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে, ব্যস্ত সময় কাটাছেন পঞ্চগড়ের ফুল বিক্রেতারা
উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত :
শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
২৪
বার পড়া হয়েছে
বাঙালি জাতির গর্বের ও ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি’। আর এ গর্বের মাসের তিন দিবসকে ঘিরে পুরোদমে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ফুল চাষি ও বিক্রেতারা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পুরোদমে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এবার ভিন্ন চিত্র। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বাগান পরিচর্যা করতে না পারায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুল ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে এবারে লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফুল বিক্রেতারা। পঞ্চগড় জেলায় স্থানীয়ভাবে এবারে ফুল চাষ না হওয়ায়। এবং ফুলের বাম্পার ফলন না হওয়ায় লাভের আশা করছেন না ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাহিদা থাকলেও এবার নিজেদের ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারছেন না। নিজ নিজ ফুলের দোকান এবং পঞ্চগড়ের ফুল এলাকার চাহিদা মেটাতে না পারায়, বাইরে বিক্রি করতে পারছে না ফুল চাষিরা।
স্থানীয় ফুলচাষি ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘ফেব্রুয়ারি’ মাসে ৩ দিবসকে ঘিরে ফুলের চাহিদা ব্যাপক থাকায় মাসটির শুরু থেকেই ব্যস্ততায় থাকছেন তারা।একই দিনে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসসহ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ফুলের চাহিদা অনেকটাই বাড়বে বলেও জানান তারা। মরিয়ম নার্সারির স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন , ফেব্রুয়ারি মাসে গোলাপ, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদাসহ বিভিন্ন জাতের ফুলের অনেক চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা এবার নিজস্ব জমিতে ফুল চাষ করতে পারিনি। ফুল বিক্রেতা লিমা আক্তার বলেন বিভিন্ন দিবস ছাড়া তেমন ফুলের চাহিদা থাকে না। আশা করছি, এই তিনটি দিবসে ফুল বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করা যাবে।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালাক আবু হানিফ বলেন, কিছু কিছু জমিতে চাষ হলেও পঞ্চগড় জেলায় তেমন ভাবে ফুলচাষ হয়নি। আশা করছি, আগামীতে পঞ্চগড়ে ফুলচাষ আরও বাড়বে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা। এদিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) একই দিন পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পঞ্চাশ হাজার টাকা বিক্র হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম আজাদ । অন্যদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় ৩ দিবসকে ঘিরে ফুল বিক্রি করে কিছু আয় হবে বলে তিনি জানান ।